ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

কিয়ামতের চূড়ান্ত নিদর্শনসমূহ

Daily Inqilab এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ এএম

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
দাজ্জালেল আগমন
কিয়ামতের বড় নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্য একটি হল দাজ্জালের আগমন। হাদীসের কিতাবসমূহ অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে দাজ্জালের প্রসঙ্গে আলোচিত হয়েছে। প্রত্যেক নবীই তাঁর উম্মাতগণকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। হযরত রাসূল (স:) তার কতিপয় চিহ্ন বর্ণনা করেছেন। হাদীসে মুতাওয়াতির ও উম্মাতের ইজমা দ্বারা দাজ্জালের বিষয় প্রমাণিত। “দাজ্জাল” শব্দের অভিধানগত অর্থ প্রতারক, মিথ্যাবাদী, সত্য মিথ্যার মিশ্রণকারী। অভিধানের এ দৃষ্টিকোণ থেকে উপরোল্লিখিত বিশেষণযুক্ত যে কোন ব্যক্তিকে দাজ্জাল বলা যেতে পারে।

(ক) দাজলুন শব্দের মূল অর্থ মিশ্রিত করা। যেমন কোন বস্তু খলত মলত ও মিশ্রিত হলে আরবীতে বলা হয় দাজালা। এখানে দাজ্জাল হল মিথ্যাবাদী মসহী। সে মিথ্যা ও যাদুকে সত্যের সাথে মিশ্রিত করে দিবে। (লিসানুল আরব-১২/২৮৪-২৮৫) আপনি কি জানেন দাজ্জাল কি? দাজ্জাল হল, পথভ্রষ্টতা, কুফর ও ফিতনার উৎস। নবীগণ উম্মাতদেরকে তার সম্পর্কে সচেতন করেছেন ও ভীতি প্রদর্শন করেছেন। দাজ্জাল অর্থ মিথ্যাবাদী। কেউ কেউ বলেন, দাজ্জাল যেহেতু লোকদের সামনে সত্য মিথ্যার মিশ্রণ ঘটাবে তাই উক্ত নাম তার জন্য নির্ধারিত। কারো মতে দাজলুন শব্দ হতে দাজ্জাল শব্দের উৎপত্তি। (শরহে আকিদায়ে সিফারিনিয়্যাহ-২/৮৬,৯৯)

কিয়ামতের আলামত অধ্যায়ে দাজ্জাল হল এক বিশেষ কাফির ব্যক্তি। হাদীস সমূহে বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্যতার সাথে যার আলোচনা বর্তমান। (যার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি) সে ইয়াহুদি বংশোদ্ভুত হবে। খোদা হওয়ার দাবী করবে। তার দু চোখের মাঝে এ .... অর্থাৎ কাফির বা কুফর লেখা থাকবে। ডান চক্ষু দৃষ্টিহীন হবে। ডান চোখে আঙ্গুলের ন্যায় উঠন্ত দানার মত থাকবে। ভূপৃষ্ঠে সে চল্লিশ দিন বিচরণ করবে। তবে সে চল্লিশ দিনের প্রথম দিন এক বছরের সমান, দ্বিতীয় দিন মাসের সমান, তৃতীয় দিন সপ্তাহের সমান হবে। অবশিষ্ট দিনগুলো সাধারণ দিনের সমপরিমাণ দৈর্ঘ্য হবে। বান্দাদের পরীক্ষার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা‘য়ালা তার হাতে বিভিন্ন অলৌকিক বিষয় ও যাদুর কারিশমা প্রকাশ করবেন। সে মানুষকে হত্যা করে আবার জীবিত করবে। আসমান তার নির্দেশে বৃষ্টি বর্ষণ করবে। ভূমিকে নির্দেশ দিলে ভূমি উদ্ভিদ উদগিরণ করবে। জনবসতি শূন্যস্থান দিয়ে গমনকালে সে স্থানের প্রতি নির্দেশ দিবে: তুমি তোমার গোপন সম্পদের ভাণ্ডার বের করে দাও। সে তার লুপ্ত ভাণ্ডার বের করে দিবে। অত:পর সম্পদের সে ভাণ্ডার মধু মক্ষিকার মত তার পিছে পিছে গমন করতে থাকবে। এমনিভাবে চলতে চলতে পরিশেষে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তাকে পুন রায় জীবিত করবে। দ্বিতীয় বার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করবে কিনস্তু সফল হবে না। দাজ্জাল পুরা ভূপৃষ্ঠ মন্থন করে ছাড়বে। মক্কা মদীনা ব্যতীত এমন কোন শহর-নগর থাকবে না যেখানে দাজ্জালের পদচারণা হবে না। শুধুমাত্র উক্ত দুটি নগরে ফেরেস্তাদের প্রহরা থাকার কারণে প্রবেশ করতে পারবে না। দাজ্জালের ফেতনা মানব ইতিহাসে সব চেয়ে বড় ফিতনা হিসেবে বিবেচিত হবে। (ক) হযরত কাতাদাহ বলেন; হযরত আনাস বিন মালিক (রা:) আমাদেরকে হাদীস শুনিয়েছেন, রাসূলুল্লাহ (স:) বলেছেন-দাজ্জালের দু চোখের মাঝে কাফ-ফা-রা অর্থাৎ কাফির লেখা থাকবে। (সহীহ মুসলিম-২/৪০০)

হযরত ইমাম মাহদী (আ:) কুস্তানতুনিয়া বিজয়ের পর পরলোক গমন করবেন। তাঁর দামিস্ক অবস্থানকালে শাম ও ইরাকের মধ্যবর্তী স্থানে দাজ্জালের আগমন হবে। প্রথমে সে নবুওয়অতের দাবী করবে। সেখান হতে ইস্পাহান যাবে। ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইয়াহুদি তার অনুসারী ও অনুগামী হবে। অত:পর সে নিজেকে খোদা বলে দাবী করতে থাকবে এবং নিজের বিশাল বাহিনী সঙ্গে করে ভূপৃষ্ঠে ফিতনা ও অশান্তি সৃষ্টি করবে। অনেক সাম্রাজ্য ঘুরে ইয়ামান পৌঁছবে। অনেক পথভ্রষ্ট ব্যক্তিবর্গ তার সাথী ও সহযোগী হয়ে যাবে। এখান থেকে সে মক্কা মুকাররমার কাছাকাছি পৌঁছে থেমে যেতে বাধ্য হবে। কেননা মক্কা শরীফের চতুর্দিকে ফেরেস্তাদের প্রহরা বেষ্টনী থাকবে। ফলে দাজ্জাল মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না। অত:পর মদীনা মুনাওয়ারার দিকে ধাবিত হবে। মদীনা শরীফের চতুর্দিকে ফেরেস্তাদের প্রহরা বেষ্টনী থাকায় তাতেও প্রবেশ করতে পারবে না। সে সময় মদীনাতে তিন বার ভূকম্পন অনুভূত হবে। দুর্বল ঈমানদারগণ ভূকম্পনে ভীত হয়ে মদীনা হতে বের হয়ে যাবে এবং দাজ্জালের ফাঁদে পড়ে যাবে। (ক) হযরত আনাস বিন মালিক (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স:) বলেন, ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইয়াহুদী অধিবাসী দাজ্জালের পিছে পিছে অনুগামী হয়ে চলতে থাকবে। (সহীহ মুসলিম-২/৪০৫) (খ) হযরত আনাস বিন মালিক (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স:) ইরশাদ করেন : দাজ্জাল ভূপৃষ্ঠের সকল নগর চষে বেড়াবে। কিন্তুু মক্কা ও মদীনায় প্রবেশের সকল গলি পথে ফেরেস্তাগণ কাতারবন্দী হয়ে পাহারা দিতে থাকবে। মদীনায় তিনবার ভূমিকম্প হবে। ফলে কাফির মুনাফিকগণ মদীনা হতে বের হয়ে যাবে। (সহীহ মুসলিম-২/৪০৫) মদীনা শরীফের উপকণ্ঠে আল্লাহর একজন প্রিয় বান্দা দাজ্জালের সাথে তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। দাজ্জাল তার জীবনপাত করে দিবে। পুনরায় জীবিত করবে। তখন আল্লাহর ওলী দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করবেন যে, তোমার দাজ্জাল হওয়ার ব্যাপারটি আমার নিকট এখণ অত্যন্ত সুনিশ্চিত। দাজ্জাল তাকে দ্বিতীয় বার হত্যা করতে উদ্যত হবে, কিন্তু এবার হত্যা করতে পারবে না।

(ক) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) বলেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ (স:) আমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে এক দীর্ঘ হাদীস শোনালেন। এক পর্যায়ে রাসূল (স:) বললেন, সেদিন দাজ্জালের সামনে তৎকালের একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বলবেন: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় তুমি সেই দাজ্জাল যে সম্পর্কে আমরা রাসূলুল্লাহ (স:) এর হাদীসে জানতে পেরেছি। দাজ্জাল তখন তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে বলবেন যে, আমি যদি এ ব্যক্তিকে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করি তবে কি এ ব্যাপারে তথা আমার খোদা হওয়ার ব্যাপারে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকবে? তারা বলবে : না। রাবী বর্ণনা করেন: তার পরই দাজ্জাল লোকটিকে হত্যা করে ফেলবে। অত:পর জীবিত করবে। আল্লাহর ওলি জীবিত হয়ে বলবেন : আল্লাহর শপথ, আজকে আমি তোমার দাজ্জাল হওয়ার ব্যাপারে যেমন সুস্পষ্ট ও নিশ্চিত জ্ঞান লাভ করলাম, তার চেয়ে বেশী কখনো লাভ করেনি। এ উক্তিতে দাজ্জাল তাঁকে আবার হত্যা করতে প্রয়াসী হবে, কিন্তু হত্যা করতে সক্ষম হবে না। (সহীহ বুখারী-২/১০৫৬)

সেখান থেকে দাজ্জাল সিরিয়া অভিমুখে রওয়ানা হয়ে দামিস্কের নিকটবর্তী হবে। ইমাম মাহদী পূর্ব হতেই সেখানে অবস্থান করবেন। হঠাৎ করেই একদিন ঈসা (আ:) আসমান হতে অবতরণ করবেন। ইমাম মাহদী সকল দায়-দায়িত্ব ঈসার (আ:) হাতে অর্পণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে তিনি বলবেন: মূল দায়িত্বে আপনিই থাকবেন, আমার কাজ শুধু দাজ্জালকে হত্যা করা। পরদিন প্রভাতে ঈসা (আ:) মুসলিম বাহিনী সঙ্গে নিয়ে দাজ্জাল বাহিনীর দিকে অগ্রসর হবেন। তিনি অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণ করত: বল্লম হাতে আক্রমণ করবেন। ভীষণ যুদ্ধ হবে। ঈসা (আ:) এর নি:শ্বাস খোদার কুদরাতে তার দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। আর যেই কাফিরকে তার নি:শ্বাস স্পর্শ করবে সে ভবলীলা সাঙ্গ করবে। ঈসা (আ:)-এর উপর দাজ্জালের দৃষ্টি পড়তেই সে পালাতে শুরু করবে। ঈসা তার পিছু ধাওয়া করবেন এবং “বাবে লুদ”এ পৌঁছে দাজ্জালকে হত্যা করবেন। (ক) হযরত নাওয়াস বিন সামআন (রা:) বলেন, রাসূল (স:) ফরমান ইমাম মাহদীর এ অবস্থার মধ্যেই আল্লাহ ঈসা বিন মারইয়াম (আ:) কে প্রেরণ করবেন। তিনি দুজন ফেরেস্তার পাখায় হস্ত স্থাপন করে পূর্ব দামেস্কে শ্বেত মিনারে অবতরণ করবেন।

হযরত ঈসা (আ:) এর অবতরণ
কিয়ামতের বৃহৎ বা চূড়ান্ত নিদর্শনাবলী তৃতীয় হলো আসমান হতে হযরত ঈসা (আ:) এর অবতরণ ও দাজ্জালকে নিধন। হযরত ঈসা (আ:) এর অবতরণের বিষয়টি কুরআন মাজীদ, হাদীসে মুতাওয়াতির ও উম্মাতের ইজমা দ্বারা সাব্যস্ত। এর সত্যায়ন ও এর উপর ঈমান আনয়ন ফরজ। মুসলমান হওয়ার জন্য এটা অত্যাবশ্যক। এ আকীদা পরিহার করে কেউ মুসলমান হতে পারবে না।

(ক) ইজমা : ঈসা (আ:)-এর পৃথিবীতে পুনরায় আগমনের ব্যাপারে উম্মাত একমত। আহলে শরীআতের কেউ এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেননি। শুধুমাত্র জড়বাদী দার্শনিকগণ একথা অস্বীকার করেন। এব্যাপারে উম্মাতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, হযরত ঈসা (আ:) আসমান হতে অবতরণ করবেন, মুহাম্মদ (স:) এর শরীয়াত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি কোন পৃথক শরীয়াত নিয়ে আগমন করবেন না। যদিও আকাশ হতে অবতরণকালে তার নবুওয়্যাত ঠিক থাকবে ও তিনি উক্ত পদবীতে ভূষিত হবেন। (শরহে আকীদায়ে সিফারিনিয়্যাহ-২/৯০)

আসমান হতে হযরত ঈসা (আ:) এর অবতরণ করার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরূপ
হযরত ইমাম মাহদী (আ:) মদীনা শরীফ হয়ে দামেস্কে পৌঁছাবেন। দাজ্জালও মক্কা মদীনা হতে বিতাড়িত হয়ে দামেস্কের নিকটবর্তী হবে। ইমাম মাহদী ও ইয়াহুদীদের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ চলতে থাকবে। ইত্যবসরে একদিন আছরের নামাযের আযানের পরে লোকজন যখন নামাযের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকবে হঠাৎ ঈসা (আ:) দু ফেরেস্তার পাখায় ভর দিয়ে আসমান হতে অবতরণ করতে দৃষ্টিগোচর হবেন। তিনি মস্তক অবনত করলে শিশির বিন্দুর মত পানি পড়তে থাকবে। মাথা উঠালে মুক্তা সমউজ্জ্বল দানা ঝরতে থাকবে। দামেস্কের জামে মসজিদের পূর্ব প্রান্তে শ্বেত মিনারের উপর নামবেন। অত:পর সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামবেন। ঈসা (আ:) সারা দেশে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। ঈসায়ীদের ক্রুশ ভেঙ্গে দিবেন। (ঈসায়ীদের ক্রুশ ভাঙ্গার অর্থ এটাও হতে পারে যে, তাদের ক্রুশের ধারণা ভ্রান্ত প্রতিপন্ন করবেন। শূকর হত্যা করে ফেলবেন। জিযিয়া কর রহিত করবেন। ইয়াহুদীদের ও দাজ্জালকে খতম করবেন। এমনকি ইয়াহুদীগণ সকলে নিপাত যাবে। কাফির ব্যক্তি ঈসা (আ:) এর নি:শ্বাস লাগলে মৃত্যুবরণ করবে। পরিশেষে “বাবে লুদ” নামক স্থানে দাজ্জালকে হত্যা করবেন। ধন-সম্পদের এমন প্রাচুর্য হবে যে, কেউ তা গ্রহণ করতে আগ্রহী হবে না।

(ক) হযরত আবু হুরাইরা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স:) ইরশাদ করেন : ঐ মহান সত্তার শপথ, যার কুদরাতি হতে আমার প্রাণ, অবশ্য অবশ্যই অদূর ভবিষ্যতে ঈসা বিন মারইয়াম (আ:) একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক রূপে তোমাদের মাঝে আগমন করবেন। তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকর নিধন করবেন, যুদ্ধ সংঘাত রহিত করবেন, ধন-সম্পদের প্রাচুর্য ও প্রবাহ হবে এমন কি কেউ তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকবে না। (সহীহ বুখারী শরীফ ১/৪৯০)
ইমাম মাহদীর তিরোধানের পর ঈসা (আ:) সকল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজ হাতে গ্রহণ করবেন। স্মর্তব্য যে, ঈসা (আ:) আকাশ হতে পৃথিবীতে পুনরায় অবতরণের পর নবী হিসাবেই থাকবেন। কেননা নবুওয়াত প্রদানের পর উক্ত পদ হতে কাউকে কখনো আল্লাহ পাক বরখাস্ত করেন না। তবে এ সময়ে তিনি মুহাম্মদ (স:) এর উম্মাতের ন্যায় একজন মুজাদ্দিদ ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদায় মর্যাদাবান হবেন।

দাজ্জালকে হত্যার পর তিনি সাধারণ মুসলমানদের সংশোধন ও তাদের অবস্থার পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করবেন। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে তাদেরকে তুর পর্বতে একত্রিত করবেন। পৃথিবীতে আগমনের চল্লিশ বা পঁয়তাল্লিশ বছর পর তার ইন্তিকাল হবে। পৃথিবীতে অবস্থানকালে তিনি বিবাহ শাদী করবেন। তাঁর সন্তান-সন্ততিও হবে। মদীনা শরীফে ইন্তিকালের পর রাসূল (স:) এর রওজা শরীফে তাঁকে দাফন করা হবে। তার তিরোধানের পর কাহাতান বংশের জনৈক জাহজাহ শাসক নিযুক্ত হবেন। তার অবর্তমানে পর পর কয়েকজন ন্যায়পরায়ণ শাসকের কাল অতিবাহিত হবে। অনন্তর ক্রমে ক্রমে ন্যায়পরায়ণতা ও সৎকর্ম হ্রাস পেতে আর অসৎ কর্ম বৃদ্ধি পেতে থাকবে।


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান